বিজ্ঞানের যে শাখায় অণুজীব বা Microorganism সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে অণুজীব বিদ্যা বা Microbiology বলে। অণুজীবগুলো অতি ক্ষুদ্র হওয়ায়, অত্যন্ত শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এদের সনাক্ত করা সম্ভব নয়। তাই অনুজীব বিদ্যার অগ্রগতি ইলেক্ট্রন- মাইক্রোস্কোপের উদ্ভাবন ও উৎকর্ষের সাথে জড়িত। সেবা দানের জন্য অনুজীব সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা জরুরি। অনুজীবের সংজ্ঞা, পঠন, শ্রেণিবিভাগ, বিশেষ করে 'সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় যে সব অনুজীবের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়, তাদের নাম, সৃষ্ট রোগ, জীবনচক্র, সংক্রমণ, সনাক্তকরণ পদ্ধতি ও সরঞ্জামাদি, জীবানুমুক্তকরণ পদ্ধতি, জীবাণু ধ্বংসের পদ্ধতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজের পরিধি ও পরিকল্পনা করার পূর্ব শর্ত। এ অধ্যায়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অনুজীবের নাম, সৃষ্ট রোগ, জীবানুমুক্তকরণ, অনুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার ও জীবাণু ধ্বংসকরণ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করব।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা
উল্লেখিত শিখনফল অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা দুইটি জব (কাজ) সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যে অনুজীবের পঠন, সৃষ্ট রোগ, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার, জীবানুমুক্তকরণ পদ্ধতিসমূহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির নাম উল্লেখ করা, সনাক্ত করা, কার্যাবলি উল্লেখ করা, চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার পুরুত্ব ও কাজ উল্লেখ করা এবং এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারব। অবগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জানব।
অণুজীব বা Microorganism অণুজীব অতি ক্ষুদ্র জীবাণু (Organism) যা খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্র (Microscope) -এর সাহায্যে দেখতে পাওয়া যায়। যেমন, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস, প্রটোজোয়া ইত্যাদি।
জৈবিক গঠনের উপর ভিত্তি করে ৩ টি শ্রেণিতে বিভক্ত-
১) আদিকোষী অণুজীব (Prokaryotic micro-organism), যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ব্লু-গ্রীন এলজি ইত্যাদি।
২) প্রকৃতকোষী অণুজীব (Eukaryotic micro-organism), যেমন- ছত্রাক, প্রেটোজোয়া ইত্যাদি।
৩) উপকোষী অণুজীব (Subcellular micro-organism), যেমন- ভাইরাস।
পরজীবী (Parasite): যে সকল প্রাণি অন্য প্রাণির উপর বসবাস করে, ঐ প্রাণী হতে খাদ্য গ্রহণ করে নিজে উপকৃত হয় কিন্তু আশ্রয়দাতা প্রাণির (Host) ক্ষতি সাধন করে তাকে পরজীবী (Parasite) বলে। যেমন- কৃমি, উকুন, প্লাজমোডিয়াম ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়া (Bacteria): ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার এককোষী জীবাণু। এদের নিউক্লিয়াস আছে কিন্তু নিউক্লিয়ার মেম্পব্রেন নেই- কক্কাস, ব্যাসিলাস, স্পাইরোকিটস ইত্যাদি।
ভাইরাস (Virus): ভাইরাস এরা এক প্রকার ক্ষুদ্র জীবাণু। এরা কখনও জীব আবার কখনও জড় পদার্থের মতো আচরণ করে। যেমন- এইচ.আই.ভি; হেপাটাইটিস ভাইরাস, পক্স ভাইরাস ইত্যাদি।
প্রটোজোয়া (Protozoa): প্রটোজোয়া এক প্রকার এককোষী প্রাণী। এরা একটি মাত্র কোষ দিয়েই তার জীবন চক্রের সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকে। যেমন- এমিবা, জিয়ারডিয়া, ট্রাইকোমোনাস ইত্যাদি।
ছত্রাক (Fungus): ছত্রাক ক্লোরোফিলবিহীন এমন একটি জীবগোষ্ঠী যারা বিভিন্ন পরিবেশে মৃতজীবী অথবা পরজীবী হিসেবে বসবাস করে এবং খাদ্যকে শোষণ করে দেহের অভ্যন্তরে নেয়। বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বাসি পাউরুটির গায়ে, জুতার ওপর ছাতা পড়তে থাকবে, এরা সব ছত্রাক। খুব সহজ-সরল পরগাছা হলো ছত্রাক এবং শ্রেণিগতভাবে উদ্ভিদ। এদের পরগাছা বলার কারণ হলো যে এদের দেহে অন্য উদ্ভিদের মতো শিকড়, কাণ্ড ও পাতা বলতে কিছুই থাকে না, নিজেদের খাবারও নিজেরা জোগাড় করতে পারে না।
স্পোর (Spore): ব্যাকটেরিয়া যখন প্রতিকূল অবস্থায় থাকে তখন এর সাইটোপ্লাজম থেকে এক প্রকার আঠালো রস (ক্যারোটিন জাতীয় আমিষ দ্বারা গঠিত) নিঃসৃত হয়ে ব্যাকটেরিয়ার গায়ে লেগে থাকে এবং একে শৈত, তাপ ও বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে তাকে স্পোর বলে। স্পোর (Spore) এর বৈশিষ্ট-
ক) এরা প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে পারে।
খ) এরা অনেক দিন না খেয়েবেঁচে থাকতে পারে।
গ) স্পোরকে অল্প তাপ দিয়ে ধ্বংস করা যায় না।
স্পোর এর কাজ: ব্যাকটেরিয়াকে শুষ্ক, তাপ, ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করা, বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে ব্যাকটেরিয়াকে রক্ষা করা।
অণুবীক্ষণ (Microscope): অণুজীবগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। সুতরাং খালি চোখে জীবাণু সনাক্তকরণ বাস্তবসম্মত নয়। অণুজীবগুলোকে সনাক্তকরণের জন্য অণুবীক্ষণ যন্ত্ৰ (Microscope) ব্যবহৃত হয়। রোপের কারণ নিরূপণের জন্য রোগ জীবাণু সনাক্তকরণ অত্যন্ত পুরুত্বপূর্ণ। রোগের জীবাণু দেখে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা করতে হলে ক্ষুদ্রাকৃতির জীবাণুগুলোকে সঠিকভাবে সনাক্ত করার জন্য ৫০ থেকে ১০০গুণ বড়করে দেখা দরকার। যান্ত্রিক গঠন ও বীক্ষণ ক্ষমতার (Magnification) ভিত্তিতে অণুবীক্ষণ যন্ত্ৰ গুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। যথা: সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র (Simple microscope), বীক্ষণ ক্ষমতা ১০ থেকে ২০ গুণ বড়; যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র (Compound microscope), বীক্ষণ ক্ষমতা ২০ থেকে ১০০ গুণ বড় ও ইলেক্ট্রোন অণুবীক্ষণ যন্ত্র (Electron microscope), বীক্ষণ ক্ষমতা ২ লক্ষ গুণ পর্যন্ত বড়। সকল অণুবীক্ষণ যন্ত্রেই দুই ধরনের যন্ত্রাংশ রয়েছে-
ক) যান্ত্রিক অংশ Mechanical part যে সমস্ত যন্ত্রাংশ অন্যান্য যন্ত্রাংশকে উঠা নামা ও নড়া চড়া করতে সাহায্যে করে সেগুলো যান্ত্রিক অংশ।
খ) দর্শন অংশ (Optical part): যে সমস্ত যন্ত্রাংশের সাহায্যে দর্শনীয় বস্তু বড়ও স্পষ্ট করে দেখার ব্যাপারে সহায়তা করে সেগুলো দর্শন অংশ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার
১) রোগের জীবাণু সনাক্ত করা- ম্যালেরিয়া, কলেরা এবং অন্যান্য বিভিন্ন রোগের জীবাণু;
২) শরীরের বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা- রক্ত, প্রস্রাব, পায়খানা ও অন্যান্য উপাদানসমূহ পরীক্ষা করে লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা, অনুচক্রিকার পরিমাণ নিরুপণ, কফ, কাশি ও পূজ পর্যবেক্ষণ
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহারবিধি-
একটি পরজীবী নিরিক্ষণের প্রক্রিয়া নিচে বর্ণনা করা হল-
১) অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহারযোগ্য কিছু কাচের স্লাইড (slide) সংগ্রহ করে সেগুলো বিশুদ্ধ পানি (Distilled water) ও রেক্টিফায়েড স্পিরিট বা ইথাইল এলকোহলের সাহায্যে জীবাণুমুক্ত করা;
২) জীবাণুমুক্ত স্লাইডে পরজীবী আক্রান্ত রোগীর পায়খানার পাতলা প্রদেশ সৃষ্টি করা;
ক) পায়খানার নমুনার সাথে সমানুপাতিক হারে ডিস্টিল্ড পানির মিশ্রন তৈরি করা;
খ) মিশ্রণটি দিয়ে স্লাইডের উপর পাতলা প্রলেপ বা Smear তৈরি করা;
৩) নমুনাসহ স্লাইড অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মঞ্চে নির্ধারিত স্থানে মঞ্চ-ক্লিপ দিয়ে ভালোভাবে সেট করা;
৪) অণুবিক্ষণ যন্ত্রের অভিলক্ষ (Objectives) প্রথমে অল্পবীক্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন অভিলক্ষ সেট করে অভিনেত্রের (Eye piece) সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি বীক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন অভিলক্ষ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা;
৫) ফোকাস ঠিক করা (Adjustment of focus) - অভিনেত্রে (Eye piece) চোখ রেখে স্থুল সন্নিবেশক ক্রু (Coarse adjustment screw) ও সুক্ষ্ম সন্নিবেশক ক্রু (Micromere screw) ঘুড়িয়ে অভিলক্ষকে উঠা নামা করে স্লাইডে রক্ষিত নমুনা যাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় সে জন্য সঠিক অবস্থানে অভিলক্ষকে সেট করা;
৬) ফোকাস করা সঠিক হলে স্লাইডের মধ্যে কৃমির বাচ্চা অথবা কৃমির ডিম স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়;
৭) নমুনাটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে আর যা কিছু দেখা যায় তার ফলাফল একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করা;
৮) পরিশেষে পর্যবেক্ষণের ফলাফল ও নমুনাসহ স্লাইডটিতে একটি কোড নং দিয়ে এমনভাবে সংরক্ষণ কর যাতে সহজেই বোঝা যায় যে স্লাইডটি কোনো রোগীর নমুনা দিয়ে তৈরি হয়েছিল;
৯) নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণটি সম্পন্ন করার জন্য উপরের নিয়মে আরও কয়েকটি পর্যবেক্ষণ স্লাইড ও কাগজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করা;
এভাবেই অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে অণুজীব ও পরজীবীর উপস্থিতি নিরূপণ করা হয়।
২.৩.১ ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)
অধিকাংশ ছোঁয়াচে রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার এককোষী আণুবীক্ষণিক জীবাণু। স্বভাবতই এদের খালি চোখে দেখা যায় না। এদের কোষে নিউক্লিয়াস আছে কিন্তু নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাই নাই। তবে কোষপ্রাচীর থাকে। অনুকূল পরিবেশ পেলে এরা দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে বংশ বৃদ্ধি করে। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যাকটেরিয়ার জীবনচক্রের জ্ঞান প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য অপরিহার্য।
ব্যাকটেরিয়ার সাধারণ বৈশিষ্ট্য
১) খালি চোখে দেখা যায় না।
২) কোষ প্রাচীর ফ্লাজেলা, ফিম্ব্রিয়া ও ক্যাপসুল আছে।
৩) এদের নিউক্লিয়াস আছে।
৪) এদের দেহে কোনো ক্লোরোফিল নেই।
৫) এদের নিউক্লিয়াস এর মাঝে ক্রোমজম আছে।
৬) এদের মাইটোকছিয়া ও এন্ডোপরাজমিক রেটিকুলাম নেই।
৭) এরা হি-বিভাজন প্রক্রিয়ার বংশ বিস্তার করে।
ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিভাগ:
১) কারুকাস (Coccus) : গোলাকার বা চ্যাপ্টা
২) ব্যাসিলাস (Bacillus ) : নলাকৃতি
৩) স্পাইরোকিট (Spirochetes) : স্প্রিং এর মত।
ব্যাকটেরিয়ার জীবন প্রক্রিয়া
ব্যাকটেরিয়া দ্বি-মাত্রিক বৃদ্ধি (Binary fission) হারে বংশবৃদ্ধি করে। বংশবৃদ্ধির পর্যায় বা ধাপগুলো হল-
ক) খাদ্য গ্রহণ পর্যায় (Lag phase),
খ) বংশ বৃদ্ধি পর্যায় (Log phase),
গ) স্থির অবস্থা (Stationary phase),
ঘ) হ্রাস পর্যায় (Phase of decline)
ভাইরাস সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জীব যাদের ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। ভাইরাস এর মাঝে ডিএনএ বা আরএনএ থাকে কিন্তু নিইক্লিয়াস থাকে না। গঠনের দিক থেকে ভাইরাস একটি পরিপূর্ণ কোষ নয় বলে একে সাবসেলুলার বা ননসেলুলার বলা হয়। ভাইরাসকে আন্তঃকোষীয় পরজীবীও (Intercellular parasite) বলা হয়। ভাইরাস কখনও জীব আবার কখনও জড়পদার্থের ন্যায় আচরণ করে। মানব দেহে ভাইরাস বাহিত রোগের উদাহরণ- হেপাটাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্চা, এইডস, কোভিড-১৯ প্রভৃতি।
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য-
১) ভাইরাস অত্যন্ত ক্ষুদ্র জীবাণু ।
২) ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এটা দেখা যায় না।
৩) কালচার মিডিয়াতে বংশবৃদ্ধি করা যায় না।
৪) এদের বংশবৃদ্ধি হয় রেপ্লিকেশন (DNA বা RNA এর অনুলিপিকরণ)-এর মাধ্যমে।
৫) ভাইরাস এ রাইবোজম অনুপস্থিত থাকে ।
ভাইরাসের আকার ও আকৃতি-
ভাইরাসের আঙ্গিক গঠনের উপাদানসমূহ-
১) নিউক্লিক এসিড (Nucleic acid),
২) ক্যাপসিড (Capsid),
৩) ভাইরাস প্রোটিন (Virus protein),
৪) এনভেলপ (Envelope),
৫) রাসায়নিক মিশ্রণ (Chemical composition)
ছত্রাক একধরনের বহুকোষী অণুজীব যার মধ্যে অনেকগুলো মানুষের রোগ সৃষ্টি করে। আবার কিছু ছত্রাক মানুষের উপকার করে থাকে। যেমন Penicillium chrysogenum নামক ছত্রাক থেকে পেনিসিলিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়।
ছত্রাকের বৈশিষ্ট্য -
১) সাধারণত বহুকোষী এবং সুতার মতো দেখতে হয়।
২) বেশির ভাগই মানব শরীরে রোগ সৃষ্টি করে না ।
৩) এরা বার্ডিং বা স্পোরের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে থাকে ।
৪) অধিকাংশ ছত্রাকই গ্রাম পজিটিভ
৫) এদের দেহে কোন ক্লোরোফিল নেই।
মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকারী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছত্রাক-
১) ক্যান্ডিডা (Candida),
২) এসপারজিলাস (Aspergillus ),
৩) ক্রিপটোকক্কাস (Cryptococcus)
৪) ট্রিকোফাইটন (Trichophyton) ও মাইক্রোস্পোরিয়াম (Microsporium) সহ রিং ওয়ার্ম (Ring worm) সৃষ্টিকারী ছত্রাক
Protista-এর বৃহৎ এক প্রাণি-দল (subkingdom), যাদের সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো মাত্র একটি কোষে দেহ গঠিত। প্রকৃত নিউক্লিয়াস, সুচিহ্নিত কোষকাঠামো এবং একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট ধরন দ্বারা প্রোটোজোয়া অন্যান্য প্রটিস্টা থেকে স্বতন্ত্র, যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই বিভাজন খুব স্পষ্ট নয়। এই এককোষী প্রাণীরা জীবনের জন্য জরুরি যাবতীয় কাজকর্ম কোষের মধ্যেই চালাতে পারে, যা অনেক উচ্চতর শ্রেণির প্রাণীর ক্ষেত্রে বিশেষ অঙ্গ বা অঙ্গতন্ত্র সম্পাদন করে। প্রাণিজগতের এ উপসর্গটি নিশ্চিতই বহুজাতিক (polyphylletic)। এটি জীবরাসায়নিক বিশ্লেষণ দ্বারা প্রমাণিত এবং তা দেখিয়েছে যে প্রোটোজোয়ার কোনো কোনো পর্ব (phylum) অন্যান্য প্রোটোজোয়ার চেয়ে সুনির্দিষ্ট এককোষী উদ্ভিদের সঙ্গেই অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
প্রোটোজোয়ার বৈশিষ্ট-
১। এরা এককোষী ও কোষে কোষপ্রাচীর নাই। তবে এরা উদ্ভিদ বিভাগেরও হতে পারে যেমন ছত্রাকের কিছু প্রজাতি। প্লাজমোডিয়াম দশা।
২। এদের আকার সাধারণত ১ মাইক্রোমিটার হতে ২ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে অধিকাংশ সদস্যই অতি আনুবীক্ষনিক এবং অনুবীক্ষন যন্ত্র ছাড়া ভালো দেখা যায়না।
৩। এরা দেহের আকার পরিবর্তন করতে পারে বলে নির্দিষ্ট আকার আকৃতি থাকেনা।
৪। এরা ক্ষণপদের সাহায্যে চলাচল করে। পরজীব প্রোটোজোয়া বিশেষ প্রক্রিয়ায় আন্তঃকোষীয় ফাকা স্থানে যেতে পারে। এদের কিছু সদস্যের ফ্লাজেলার মত অঙ্গ দেখা যায়।
৫। প্রতিকূল পরিবেশে এরা সিস্ট তৈরি করে এবং অনুকূল পরিবেশ ফেলে সিস্ট ভেঙ্গে অনেকগুলো প্রোটোজোয়া প্রাণির সৃষ্টি করতে পারে। সিস্ট হচ্ছে এদের নিষ্ক্রিয় দশা। দেহের চারপাশে একধরনের পুরু আবরণী সৃষ্টি করে তার ভেতর নিজেকে গুটিয়ে নিষ্ক্রিয় রাখে এবং নিউক্লিয়াসের উপাদানগুলো সাইটোপ্লাজমে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে বিপাক ক্রিয়া কমে যায়।
৬। এরা পানিতে বা ভেজা স্যাতসেতে পরিবেশে থাকে, শুষ্ক পরিবেশে সক্রিয় থাকেনা তবে সিস্ট গঠনের মাধ্যমে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
৭। এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় খাদ্য গ্রহণ করে যেমন এমিবা।
৮। এরা রোগ সৃষ্টি করতে পারে যেমন, ম্যালেরিয়া জীবানু।
যেসব প্রাণীর দেহ অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত তাদের বহুকোষী প্রাণী বা মেটাজোয়া (Metazoa) বলে। পরিফেরা (Porifera) থেকে কর্ডাটা (Chordata) পর্ব পর্যন্ত প্রাণীদের দেহ বহুসংখ্যক কোষ দ্বারা গঠিত। যেমন: Hydra vulgaris (হাইড্রা), Copsychus saularis (দোয়েল), Homo sapiens (মানুষ), কৃমি ইত্যাদি। যেমন-
কৃমি বা হেলমিন্থ
কৃমি বা হেলমিন্থ : যে সমস্ত পরজীবী খালি চোখে দেখা যায় তাদের মধ্যে কৃমি বা হেলমিন্থ অন্যতম। সকল কৃমিই মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে বাস করে তবে পরিপাকতন্ত্রের সকল অঙ্গে এর অবাধ বিচরণ রয়েছে। আঙ্গিক গঠনের ভিত্তিতে কৃমিকে প্রধানত: ২টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যেমন-
ক) নেমা কৃমি (Nema Helminth) : এরা গোলাকার ও নলাকার কৃমি।
খ) প্লাটি কৃমি (Platy Helminth) : এরা চ্যাপ্টা ও ফিতাকার কৃমি।
ক) নেমা কৃমি (Nema Helminth) : বাংলাদেশে প্রধানত ৪ প্রকার নেমা কৃমি দেকা যায়। যেমন-
i) কেঁচো কৃমি (Round worm or Ascaris lumbricoides) রোগ- দীর্ঘ মেয়াদি বদ হজম, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ সর্দি ও কাশি লেপা থাকা।
ii) বক্র কৃমি (Hook worm or Ankylostoma duodenals) রোগ- রক্ত শুন্যতা ও রুগ্ন স্বাস্থ্য।
iii) সুতা কৃষি (Thread worm or Enterobius vermicularis) রোগ- বদ হজম ও মলদ্বারে চুলকানি বেশি করা।
iv) ট্রাইচুরী কৃমি (Trichuris trichuria) রোপ- দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া।
২) প্লাটি কৃষি (Platy Helminth) : বাংলাদেশে প্রধানত ও প্রকারের প্লাটি কৃষি বা ফিতা কৃষি (Tape worn or Cestodes) দেখা যায়। যেমন-
i) টেনিম্না সাজিনাটা (Beef tape wom or Taenia soginata)
ii) টেনিয়া সোলিয়াম (Pork tape worm or tacnia solium)
iii) হাইমেনোলেন্সিস (Dwarf tape worm or Hymenolepis nana)
জীবাণুমুক্তকরণ (Sterilization): জীবাণুযুক্তকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সমস্ত জীবাণু স্পোরসহ ধ্বংস করা বা সরিয়েফেলা হয়।
নির্জকরণ (Disinfection): নির্জীবকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবণুগুলোর সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয় যাতে এরা প্রদাহ সৃষ্টি করতে না পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব জীবাণু ধ্বংস হয়না কিছু জীবাণু ও স্পোর বেঁচে থাকে। এ পদ্ধতিকে ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক পদ্ধতিও বলে। আবার, ব্যাকটেরিওসাইভালে জীবাণু পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়। যেমন: তাপ ও বিকিরণ পদ্ধতি ।
নির্জীবকারক (Disinfectants) বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা নির্জীবকরণে ব্যবহার করা হয়। জীবাণুক্তকরণ পদ্ধতি: প্রধানত দুই প্রক্রিয়ায় জীবাণুযুক্ত করা হয়-
ক) ভৌত প্ৰক্ৰিয়ায় জীবাণুমুক্তকরণ (Physical sterilization)
১) ভাগ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া (Heat)-
২) বিকিরণ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া (Radiation)
৩) ছাকন জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া (Filtration)
খ) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবাণুমুক্তকরণ (Chemical sterilization),
তাপ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া (Heat)-
তাপ হলো জীবাণুমুক্তকরণের সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকরি প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কোষের প্রোটিন জমাট বেধে অণুজীব মারা যায়। অল্প তাপমাত্রায় অণুজীব বিপাকীয় কাজে স্থবিরতা আসার ফলে জীবাণু দমন করা সহজ হয়। তাপের ধরনের উপর ভিত্তি করে দুইটি পদ্ধতি বিদ্যমান-
ক) কম তাপে জীবনুমুক্তকরণ (১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার কম)
খ) উচ্চ তাপে জীবাণুমুক্তকরণ (১০০° সেলসিয়স তাপমাত্রার বেশি)
ক) কম তাপে জীবাণুমুক্তকরণ
১) পাস্তুরীকরণ (Pasteurization): এই পদ্ধতিতে দুধকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, নির্দিষ্ট সময় ধরে গরম করা হয় যাতে দুধে অবস্থিত সকল জীবাণু মারা গেলেও দুধের রং, গন্ধ ও পুষ্টি মান অপরিবর্তিত থাকে। পাস্তুরীকরণ প্রক্রিয়ায় যেসব জীবাণু ধ্বংস হয়- মাইকোব্যাকটেরিয়াম বোভিস (Mycobacterium bovis), ই-কোলাই (E.coli), ব্রুসেলা (Brucella) ইত্যাদি।
পাস্তুরীকরণ পদ্ধতি
২) সেরাম ঘনকরণ (Serum Inspissation): এই পদ্ধতি সংগঠিত হয় ৭৫° থেকে ৮৫° সেলসিয়াস এর মধ্যে। এই পদ্ধতিতে জমাট বাধা ছাড়াই প্রোটিণ শক্ত করে ফেলা হয়। যে সব কালচার মিডিয়াতে সিরাম থাকে তাদের এই প্রক্রিয়ায় জীবাণুমুক্ত করা হয়।
খ) উচ্চ তাপে জীবাণুমুক্তকরণ: ২টি প্রক্রিয়ায় করা হয়।
১) শুষ্কতাপ (Dry heat)
সাধারণত ১৬০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, এক ঘন্টা ধরে, শুষ্ক জায়গায় তাপ দেওয়া হয় যাতে সকল জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় ।
শুষ্কতাপের জীবাণুমুক্তকরণ কার্যপ্রনালী
কয়েকটি শুষ্কতাপের জীবাণুমুক্তকরণের উদাহরণ
i. জলন্ত শিখা (Flaming)
নির্ধারিত বস্তুকে আগুনের শিখার উপরে রাখ ধীরে ধীরে গরম করে গনগনে লাল রং ধারনা করার মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
ii. হট এয়ার ওভেন (Hot air oven )
এই প্রক্রিয়ায় ১৬০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘন্টা ধরে রাখা হয়। কাচের তৈরী পাত্র, কাঠি, সিরিঞ্জ; পাউডার ও তৈলাক্ত জিনিষ এর মাধ্যমে জীবাণু মুক্ত করা হয়। হট এয়ার ওভেন বিদ্যুৎ বা গ্যাস চালিত হতে পারে।
iii. অবলোহিত বিকিরণ (Infrared irradiation)
এ প্রক্রিয়ায় ১৮০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৭.৫ মিনিট ধরে উত্তপ্ত করা হয়। তাপরোধী বস্তু, ধাতব ও কাঁচের যন্ত্রপাতি, ধারালো বস্তু ছাড়াও ঘরের মেঝে, দেওয়াল, আসবাবপত্রের পৃষ্ঠ অবলোহিত বিকিরণের মাধ্যমে উত্তপ্ত করে জীবানুমুক্ত করা হয়।
২) আদ্র তাপে জীবাণুমুক্তকরণ (Sterilization by Moist Heat)
আদ্রতা বা বাতাসে জলীয় বাষ্পের সাহায্যে তাপ সঞ্চালন করে জীবাণু ধ্বংস করা হয়।
আদ্র তাপের জীবাণুমুক্তকরণ কার্যপ্রণালী
কয়েকটি আদ্র তাপের জীবাণুমুক্তকরণের উদাহরণ
বিকিরণের মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করণ (Sterilization by radiation)
বিভিন্ন রশ্মির বিকিরণ জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম । এই রশ্মিগুলো ডিএনএ ধ্বংস করতে পারে।
উধাহরন- গামা রশ্মি (Gamma ray), আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি (Ultraviolet ray), এক্স-রে (x-ray ) প্রভৃতি।
গামা রশ্মি (Gamma ray): জীবানুমুক্তকরণে ব্যবহার করা হয়।
ক) ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ খ) নিডল। গ) ট্রান্সফিউশন উপকরণ ঘ) বায়োলজিকাল দ্রব্যাদি।
আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি (Ultraviolet ray ) : সাধারণত ঔষধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিশেষ করে অপারেশন থিয়েটার জীবানুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
ছাকন (Filtration): নিচে উল্লেখিত ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্তকরণ কাজে ছাকন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন:
১। খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ কাজে ।
২। দ্রবীভূত পদার্থ জীবাণু থেকে আলাদা করতে।
৩। ভাইরাস থেকে ব্যাকটেরিয়া আলাদা করতে।
৪। ভাইরাসের আকার সনাক্ত করতে।
৫। পরীক্ষার যন্ত্রপাতি বা মিডিয়া জীবাণুমুক্তকরণ কাজে।
রাসায়নিক প্রক্রিয়া (Chemical method):
১) ইথাইল এলকোহল (Ethyl alcohol): রেক্টিফাইড স্পিরীট বা ৭০% ইথাইল এলকোহল জীবাণুমুক্তকরণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ইথাইল এলকোহল জীবাণুর প্রোটিন জমাট বেঁধে দেয়, যার ফলে জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
২) ফিনল এবং ডেটল (Phenol and Dettol): ফিনল এবং ডেটল জীবানু নাশক হিসাবে বহুল ব্যবহৃত যা জীবাণুর প্রোটিনকে জমাট বাধায়। বর্তমানে জীবাণুমুক্তকরণ কাজে শতকরা ১ থেকে ২ ভাগ ফিনল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৩) হ্যালোজেন (Halogen): ক্লোরিন, ব্রোমিন ও আয়োডিনকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় হ্যালোজেন বলা হয়। এরা জীবাণু ধ্বংস করে। যেমন- ব্লিচিং পাউডারে ক্লোরিন থাকায় জীবাণু ধ্বংসের ক্ষেত্রে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার হয় ।
৪) ফরমালিন বা ফরমাল্ডিহাইড (Formaldehyde): ফরমালিন বা ফরমালডিহাইড স্পোরকে ধ্বংস করে থাকে। বাষ্পীয় ফরমাল্ডিহাইডের জীবাণু ধ্বংসকরার ক্ষমতা অত্যন্ত বেশী। ঘর বিছানা এবং কাপড়জীবাণুমুক্ত করতে ফরমাল্ডিহাইডের ব্যবহার করা হয়। ৪০% ফরমালিডিহাইড জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৫। ইথিলিন অক্সাইড (Ethylene oxide): এটা, গ্যাসীয় জীবাণু ধ্বংস কারক। এটা প্লাষ্টিক, রবারের জিনিস, জটিল যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য ধাতব পদার্থ জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
৬) ডিটার্জেন্ট (Detergent): ডিটার্জেন্ট জীবাণুর কোষ পর্দা নষ্ট করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবহার
১) শৈল্য চিকিৎসায় জীবাণুমুক্তকরণ- অস্ত্রপচারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ।
২) অণুজীব পরীক্ষায় জীবাণুমুক্তকরণ- অণুজীব পরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ।
বেশির ভাগ মানব কর্মকাণ্ডের মতন সেবার ক্ষেত্রেও প্রচুর বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৭৫% বর্জ্যই পৌরসভার স্বাধারণ অন্যান্য ময়লার মত, বিপদজনক নয়। শুধুমাত্র ২৫% চিকিৎসা বর্জ্যের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে এই বিপদজনক বর্জ্য না করে আলাদা করে ফেলতে হবে।
বিপদজ্জনক বর্জ্য-
বর্ণ কোড সম্বলিত চিকিৎসা বর্জ্য খারক
চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ৩টি ধাপ: ১. সংগ্রহ ও পৃথকীকরণ (Collection & Segregation); ২. সংরক্ষণ ও পরিবহন (Storage & Transport) ৩. জীবানুমুক্ত ও নিষ্পত্তি করণ (Treatment & Disposal )
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুল্স ও ইকুইপমেন্ট)
ক্রমিক | নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
১ | ছবিযুক্ত বই | পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক | ১ টি |
২ | বল পয়েন্ট কলম | কালো কালির | ১ টি |
৩ | অনুবীক্ষণ যন্ত্র | নমুনা মোতাবেক | ১ টি |
৪ | মডেল স্লাইড | নমুনা মোতাবেক | ১ টি |
অনুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার উপযোগী করার কৌশলসমূহ:
১. পৰ্যবেক্ষণ টেবিলে অনুবীক্ষণ যন্ত্র স্থাপন করা।
২. পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা।
৩.নিরক্ষণীয় স্লাইড যথাস্থানে বসিয়ে প্রস্তুত করা অনুবীক্ষণ যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ চিহ্নিক করার কৌশল:
১. ছবিতে চিহ্নিত অনুবীক্ষণ যন্ত্রের অংশগুলো সনাক্ত করা।
২. ছবিতে চিহ্নিত অনুবীক্ষণ যন্ত্রের অংশগুলোর নাম পাশে লিখা।
৩. অংশগুলোর কাজ উল্লেখ করা।
কাজের ধারা
কাজের সতর্কতা
অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল:
পারদর্শিতার মানদন্ড :
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস ও ইকুইপমেন্ট)
ক্রমিক | নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
১ | ছবিযুক্ত বই | পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক | ১টি |
২ | বল পয়েন্ট কলম | কালো কালির | ১টি |
৩ | বর্জ্য | নমুনা মোতাবেক | ১টি |
৪ | বিন / বর্জ্য ধারক | লাল, হলুদ, কালো, সবুজ ও রুপালি | ৫ টি |
বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থা করার কৌশলসমূহ:
১. নমুনা ছবি বা বর্জ্য সনাক্ত করা।
২. যথাযথ সাৰধানতা অবলম্বন করে পর্যবেক্ষণ করা।
৩. বর্জ্যের প্রকারভেদ উল্লেখ ও পৃথককরণ করা।
৪. নির্ধারিত বিন বা বালতি সনাক্ত করা।
৫. বর্জ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের মাধ্যম উল্লেখ করা।
৬. বর্জ্য নিষ্পত্তিকরণের উপায়গুলো উল্লেখ করা।
কাজের ধারা
কাজের সতর্কতা: নমুনা অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন কর।
অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল: নমুনা চিহ্নিত করে এর ব্যবহার বা কাজ উল্লেখ করতে সক্ষম হয়েছ।
ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
আরও দেখুন...